শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন
বর্তমান সময়ের সারাবিশ্বের এক ভয়ের নাম নোভেল করোনাভাইরাস। যার মহামারিতে বিকল হয়ে পরেছে সারা বিশ্ব। এ ভাইরাসটি আমাদের মাতৃভূমিতে ও ছড়ানোর উপক্রম শুরু করেছে। এ বরিশাল শহরের নিম্নবিত্ত সকর শ্রেণি-পেশার মানুষদের পাশে এসে দাড়ানোর মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল জিলা স্কুলের এস.এস.সি ২০১২ ব্যাচের অকুতোভয় ছাত্ররা। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের নিজস্ব উদ্যোগে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করার কাজ শুরু করেন।
মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবতার রুপ দেন। মঙ্গলবার রাতে জিলা স্কুলের সামনে দাড়িয়ে গরীব, দুস্থ্য ও সাধারণ মানুষের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। পাশাপাশি এসময় তারা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী রিক্সাচালক এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্যানিটাইজার দিয়ে এবং করোনা সম্পর্কে ধারনা দিয়ে তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে বুধবার সকাল ৭টা থেকে নগরীর রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, চৌমাথা, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, জিয়া সড়ক, নবগ্রাম রোড, চাদমারী, বরফকল, ভাটারখার, বেলতলা, কাউনিয়া, বিসিক, পুলিশ লাইন, বাংলাবাজার, কাকলীর মোড়, খেয়াঘাটসহ শহরের ৩০ টি স্পটে ২২ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় নগরীর এ্যানেক্স ভবনে বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ৪০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিসিসি কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে দেয়া হয়। বরিশাল জিলা স্কুলের এস.এস.সি ২০১২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতকেও জীবাণুমুক্ত রাখতে সহায়তা করেছেন বলে নগরভবনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিসিসি’র পরিছন্ন কর্মীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দায়িত্বে থাকা ডা. রবিউল ইসলাম। আগামীতেও এভাবেই অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে চায় ব্যাচ ২০১২।
এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণকারী বরিশাল জিলা স্কুলের এস.এস.সি ২০১২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বরিশালটাইমসকে জানান, তারা নিজেরাই ফেসবুক গ্রুপে ফান্ড সংগ্রহ এবং ঢাকা থেকে স্যানিটাইজার তৈরির কাচমাল নিয়ে আসেন। এরপর তারা বরিশাল জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে কাজে অগ্রসর হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতিক্রমে ওই বিদ্যালয়ের ল্যাব এবং সরঞ্জামাদী ব্যবহার করেন। সেখানে তারা রাতভর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দুই হাজারের অধিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়।’