বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালী বাউফলে কৃষক দলের নেতার উপর হামলা বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে নিন্দা ভিক্ষব মিছিল দেশের সংকটময় মুহূর্তে দলমত নির্বিশেষে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব….এবিএম মোশাররফ হোসেন বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়ার আয়োজন বরিশালে বাংলা বিভাগ আন্তঃবর্ষ শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণ বাউফলে নবনির্মিত পাবলিক লাইব্রেরীর শুভ উদ্বোধন বরিশালে অসহায় ব্যবসায়ী আইউব ফরাজীর পাশে আবু নাসের রহমতুল্লাহ পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া সাবেক ইউপি সদস্য সরোয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন বরিশালে মরহুম অধ্যক্ষ ইউনুস খানের ৩১ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্বরণসভা ও দোয়া মাহফিল বরিশালে রক্তদানের অপেক্ষায় বরিশাল সংগঠনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কলাপাড়ায় নদীর বুকে রঙিন নৌবহর প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক প্রতিবাদ বস্তা খুলতেই ৫০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ’ বরিশালে ছাত্রদলের মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ র‌্যালি শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে খুশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত তিন পরিবার কলাপাড়ায় গৃহবধুকে জ/বাই করে হ/ত্যা বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে “নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা
যদি মা-বাবা অমুসলিম হন

যদি মা-বাবা অমুসলিম হন

Sharing is caring!

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আমার মা শপথ করেন আমি মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করা পর্যন্ত তিনি পানাহার করবেন না। আল্লাহ তখন অবতীর্ণ করেন, ‘যদি তারা (মা-বাবা) বাধ্য করে আমার সঙ্গে শিরক করতে যে ব্যাপারে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে অনুসরণ কোরো না। তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো।…’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৪)

আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘কোনো মা-বাবা সন্তানকে আল্লাহর অবাধ্য হতে বললে সে তাদের আনুগত্য করবে না। তবে তাদের এই নির্দেশ পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়।’ ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘অমুসলিম মা-বাবার যে নির্দেশ আল্লাহর আনুগত্যের পথে প্রতিবন্ধক নয় তা অনুসরণ করাও সন্তানের জন্য আবশ্যক।’

আলোচ্য আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, মা-বাবা অমুসলিম হলেও সন্তান তাদের সঙ্গে সদাচরণ করবে। আল্লাহর অবাধ্যতার প্রশ্ন না থাকলে তাদের নির্দেশ মান্য করবে। ঈমান ও ইসলামের হুমকি না থাকলে অমুসলিম মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আসমা বিনতে আবি বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর যুগে আমার মা রাগিবা (অমুসলিম) আমার কাছে এলেন। আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তার সঙ্গে কি আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৭৮)

এই ক্ষেত্রে অমুসলিম ও মুরতাদ (ইসলামচ্যুত) মা-বাবার মধ্যে পার্থক্য আছে। শরিয়তে মা-বাবা যদি মুসলিম থেকে মুরতাদ হয়ে যায় তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘কেউ ইসলাম থেকে বিচ্যুত হলে তাকে তওবার আহ্বান করা হবে। সে তওবা করলে তার সঙ্গে মুসলমানের মতো আচরণ করা হবে। আর ইসলামের পথে ফিরে না এলে ইসলামী দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হবে।… এমন ব্যক্তি আত্মীয়তা, আনুগত্য ও অনুগ্রহের অধিকার হারায়। তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে তাদের সুপথে আনার উদ্দেশ্যে সম্পর্ক রাখা যাবে।’ (কিতাবুল উম : ১/২৫৭)

মা-বাবা অমুসলিম বা মুরতাদ হলেও তাদের গালমন্দ করা যাবে না। সমাজে তাদের অসম্মান করা যাবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহর একটি হলো মা-বাবাকে গালি দেওয়া।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯০) অমুসলিম মা-বাবার জন্য মুসলিম সন্তানের প্রধান করণীয় হলো, তাদের ঈমান ও সুপথ প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা। সদাচরণের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য তাদের সামনে তুলে ধরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD