সোমবার, ৩০ Jun ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে ছাত্রশিবিরের “সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫” অনুষ্ঠিত অসুস্থ শ্রমিকদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন ফয়েজ খান কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে পর্যটকের মৃত্যু সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের বিএ অনার্স (২০১৯-২০) এর শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বরিশালে কাশিপুর ও বাঘিয়ায় সক্রিয় অপরাধীরা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন লক্ষ্য রাখতে হবে আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দাগি আসামি যাতে দলে ভিড়তে না পারে (আবদুল আউয়াল মিন্টু) কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে রথ উৎসব অনুষ্ঠিত বরিশালে জিয়া সড়ক রাস্তা ও ড্রেনেজ সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর নিহত যুবদল নেতার কন্যার বিয়েতে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম জাহান ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য তথ্যসেবা ও মাস্ক বিতরণ  মেহেন্দিগঞ্জে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেদিয়ে এইচ,এসসি ও আলিম পরীক্ষা কলাপাড়ায় ভেড়িবাঁধ সহ স্লুইজ গেট ধ্বসে পড়ার শঙ্কা পায়রা বন্দর এর উন্নয়ন, অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা কলাপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ পটুয়াখালীতে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণসহ একাধিক মামলার আসামি র‌্যাব কতৃক গ্রেফতার
যদি মা-বাবা অমুসলিম হন

যদি মা-বাবা অমুসলিম হন

Sharing is caring!

সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। আমার মা শপথ করেন আমি মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করা পর্যন্ত তিনি পানাহার করবেন না। আল্লাহ তখন অবতীর্ণ করেন, ‘যদি তারা (মা-বাবা) বাধ্য করে আমার সঙ্গে শিরক করতে যে ব্যাপারে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে অনুসরণ কোরো না। তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো।…’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৪)

আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘কোনো মা-বাবা সন্তানকে আল্লাহর অবাধ্য হতে বললে সে তাদের আনুগত্য করবে না। তবে তাদের এই নির্দেশ পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়।’ ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘অমুসলিম মা-বাবার যে নির্দেশ আল্লাহর আনুগত্যের পথে প্রতিবন্ধক নয় তা অনুসরণ করাও সন্তানের জন্য আবশ্যক।’

আলোচ্য আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, মা-বাবা অমুসলিম হলেও সন্তান তাদের সঙ্গে সদাচরণ করবে। আল্লাহর অবাধ্যতার প্রশ্ন না থাকলে তাদের নির্দেশ মান্য করবে। ঈমান ও ইসলামের হুমকি না থাকলে অমুসলিম মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আসমা বিনতে আবি বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-এর যুগে আমার মা রাগিবা (অমুসলিম) আমার কাছে এলেন। আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তার সঙ্গে কি আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৯৭৮)

এই ক্ষেত্রে অমুসলিম ও মুরতাদ (ইসলামচ্যুত) মা-বাবার মধ্যে পার্থক্য আছে। শরিয়তে মা-বাবা যদি মুসলিম থেকে মুরতাদ হয়ে যায় তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, ‘কেউ ইসলাম থেকে বিচ্যুত হলে তাকে তওবার আহ্বান করা হবে। সে তওবা করলে তার সঙ্গে মুসলমানের মতো আচরণ করা হবে। আর ইসলামের পথে ফিরে না এলে ইসলামী দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা হবে।… এমন ব্যক্তি আত্মীয়তা, আনুগত্য ও অনুগ্রহের অধিকার হারায়। তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবে এবং সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে তাদের সুপথে আনার উদ্দেশ্যে সম্পর্ক রাখা যাবে।’ (কিতাবুল উম : ১/২৫৭)

মা-বাবা অমুসলিম বা মুরতাদ হলেও তাদের গালমন্দ করা যাবে না। সমাজে তাদের অসম্মান করা যাবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহর একটি হলো মা-বাবাকে গালি দেওয়া।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯০) অমুসলিম মা-বাবার জন্য মুসলিম সন্তানের প্রধান করণীয় হলো, তাদের ঈমান ও সুপথ প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা। সদাচরণের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য তাদের সামনে তুলে ধরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD